Loading...
अथर्ववेद > काण्ड 20 > सूक्त 94

काण्ड के आधार पर मन्त्र चुनें

  • अथर्ववेद का मुख्य पृष्ठ
  • अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 94/ मन्त्र 8
    सूक्त - कृष्णः देवता - इन्द्रः छन्दः - जगती सूक्तम् - सूक्त-९४

    गि॒रीँरज्रा॒न्रेज॑मानाँ अधारय॒द्द्यौः क्र॑न्दद॒न्तरि॑क्षाणि कोपयत्। स॑मीची॒ने धि॒षणे॒ वि ष्क॑भायति॒ वृष्णः॑ पी॒त्वा मद॑ उ॒क्थानि॑ शंसति ॥

    स्वर सहित पद पाठ

    गि॒रीन् । अज्रा॑न् । रेज॑मानान् । अ॒धा॒र॒य॒त् । द्यौ: । क्र॒न्द॒न् । अ॒न्तरि॑क्षाणि । को॒प॒य॒त् ॥ स॒मी॒ची॒ने इति॑ स॒म् ई॒ची॒ने । धि॒षणे॒ इति॑ । वि । स्क॒भा॒य॒ति॒ । वृष्ण॑: । पी॒त्वा । मद॑ । उ॒क्थानि॑ । शं॒स॒ति॒ ॥९४.८॥


    स्वर रहित मन्त्र

    गिरीँरज्रान्रेजमानाँ अधारयद्द्यौः क्रन्ददन्तरिक्षाणि कोपयत्। समीचीने धिषणे वि ष्कभायति वृष्णः पीत्वा मद उक्थानि शंसति ॥

    स्वर रहित पद पाठ

    गिरीन् । अज्रान् । रेजमानान् । अधारयत् । द्यौ: । क्रन्दन् । अन्तरिक्षाणि । कोपयत् ॥ समीचीने इति सम् ईचीने । धिषणे इति । वि । स्कभायति । वृष्ण: । पीत्वा । मद । उक्थानि । शंसति ॥९४.८॥

    अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 94; मन्त्र » 8

    भाषार्थ -
    পরমেশ্বর (অজ্রান্) গতিমান্, চঞ্চল এবং (রেজমানান্) কম্পিত (গিরীন্) পর্বত-সমূহকে (অধারয়ৎ) নিজ-নিজ স্থানে সুদৃঢ় করেছেন। পরমেশ্বর দ্বারা (দ্যৌঃ) দ্যুলোক (ক্রন্দৎ) নানাবিধ ক্রন্দনযুক্ত হয়েছে। পরমেশ্বর (অন্তরিক্ষাণি) অন্তরিক্ষস্থ বায়ু, মেঘ, বিদ্যুৎ আদিকে (কোপয়ৎ) প্রকুপিত করেছেন। পরমেশ্বর (ধিষণে) দ্যুলোক এবং ভূলোককে (বিষ্কভায়তি) ধারণ করছেন, (সমীচীনে) অতঃ এই দুটি [ভূলোক এবং দ্যুলোক] সমীচীন অবস্থায় রয়েছে। তৎপশ্চাৎ, অর্থাৎ দ্যুলোক এবং ভূলোকের সমীচীন অবস্থায় আসার পর (বৃষ্ণঃ) ভক্তিরস বর্ষণকারী উপাসকের ভক্তিরস (পীত্বা) পান করে, স্বীকার করে, (মদে) এবং প্রসন্ন হলে, উপাসকের প্রতি (উক্থানি) বৈদিক-সূক্ত-সমূহের (শংসতি) কথন পরমেশ্বর করেন।

    - [মন্ত্রে জগদুৎপত্তির ভিন্ন-ভিন্ন অবস্থার বর্ণনা হয়েছে, এবং জগত সমীচীন/উপযুক্ত/যথার্থ অবস্থায় এলে আদি-ঋষিদের বেদজ্ঞান প্রদানের বর্ণনা হয়েছে। দেখো—মন্ত্র-সঙ্খ্যা (২০.৬১.৫ তথা ২০.৬২.৯)। মন্ত্র এর অভিপ্রায় হল— (১) পৃথিবী সূর্য থেকে উৎপন্ন হয়েছে। তখন পৃথিবী অগ্নিময় ছিল, যেমন সূর্য এখনও পর্যন্ত প্রায়ঃ অগ্নিময়। সূর্যের আকর্ষণ এবং পৃথিবী অগ্নিময় হওয়ার কারণে পৃথিবীতে উঁচু-উঁচু আগ্নেয় ঢেউ উত্থিত হত। পৃথিবী শনৈঃ-শনৈঃ ঠাণ্ডা হয়েছে এবং দ্রবাবস্থায় এসেছে, তখন পৃথিবী থেকে দ্রবাবস্থার পার্থিবতত্ত্বের ঢেউ উত্থিত হল, যেমন জলীয়-সমুদ্র থেকে জলীয়-ঢেউ। পৃথিবী আরও শীতল হল এবং নরম অবস্থায় এল। তখন তা থেকে হালকা তরলরূপ ঢেউ উত্থিত হত। এই ঢেউ আকাশে উঠে পৃথিবী পৃষ্ঠ অপেক্ষা অধিকাধিক শীতল হতে থাকল, এবং ভূপৃষ্ঠও অধিকাধিক শীতল হল, এবং সময়ানুসারে এই হালকা তরলরূপ ঢেউ পর্বত রূপে ভূপৃষ্ঠে স্থির হল। ঢেউয়ের অবস্থায় যে পার্থিব-তত্ত্ব পূর্বে ভূপৃষ্ঠের আগ্নেয়, তথা দ্রবাবস্থা তথা হালকা তরলরূপ অবস্থায় বায়ুর প্রবল বেগের কারণ চলায়মান তথা নিজ-নিজ স্থান পরিবর্তন করত, তা মন্ত্রে “অজ্রান্” তথা “রেজমানান্” শব্দগুলো দ্বারা সূচিত করা হয়েছে। এই ভাব “যেন দ্যৌরুগ্রা পৃথিবী চ দৃঢা” (যজুঃ০ ৩২.৬) দ্বারাও সূচিত করা হয়েছে। (২) পৃথিবীতে এখনও জল ছিল না। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দূর দূর পর্যন্ত অক্সিজেন তথা হাইড্রোজন গ্যাস বিস্তৃত ছিল। প্রচুর বিদুৎ চমকিত হত। এই কারণে অক্সিজেন তথা হাইড্রোজনের পরস্পর রাসায়নিক বন্ধন হল, এবং বায়ুমণ্ডলে জল-সংগ্রহ হতে থাকল। এই অবস্থায় বৈদ্যুত-চমক এবং বজ্রপাতের বর্ণনা “দ্যৌঃ ক্রন্দৎ” শব্দগুলোর দ্বারা মন্ত্রে হয়েছে। (৩) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন জলের বাস্প ঘনীভূত হল, তখন প্রভূত মাত্রায় মেঘ সৃষ্টি হল, এবং তা থেকে সতত-ধারা রূপে বর্ষা হল। মেঘের গর্জন, মেঘীয় বাতাসের প্রবল প্রবাহ, এবং মেঘীয় বিদ্যুতের চমক এবং গর্জনাকে “অন্তরিক্ষাণি কোপয়ৎ” শব্দগুলোর দ্বারা সূচিত করা হয়েছে। (৪) উগ্র বর্ষার কারণে পৃথিবী শীতল হল। পৃথিবীতে জল-সংগ্রহ হল। নদী প্রবাহিত হল , তথা সমুদ্র সৃষ্টি হল, এবং শনৈঃ-শনৈঃ ঘাসপাত, তথা ঔষধি-সমূহ বনস্পতি প্রভৃতি উৎপন্ন হল। এই অবস্থাকে মন্ত্রে “সমীচীনে ধিষণে” শব্দ দ্বারা সূচিত করা হয়েছে। (৫) কালান্তরে যখন মনুষ্য-সৃষ্টি হল, তখন পরমেশ্বর মানসিক পুত্রদের উৎপন্ন করলেন, যারা আদিকালের চারজন ঋষি ছিলেন, এবং এঁদের দ্বারা বৈদিক সূক্তি-সমূহের প্রচার এবং প্রসার হল। এই অবস্থাকে মন্ত্রে “উক্থানি শংসতি” দ্বারা বর্ণিত করা হয়েছে।

    इस भाष्य को एडिट करें
    Top