अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 133/ मन्त्र 6
अव॑श्लक्ष्ण॒मिव॑ भ्रंशद॒न्तर्लो॑म॒मति॑ ह्र॒दे। न वै॑ कुमारि॒ तत्तथा॒ यथा॑ कुमारि॒ मन्य॑से ॥
स्वर सहित पद पाठअव॑श्लक्ष्ण॒म् । इव । भ्रंशद॒न्तर्लोम॒मति॑ । हृ॒दे ॥ न । वै । कु॒मारि॒ । तत् । तथा॒ । यथा॑ । कुमारि॒ । मन्य॑से ॥१३३.६॥
स्वर रहित मन्त्र
अवश्लक्ष्णमिव भ्रंशदन्तर्लोममति ह्रदे। न वै कुमारि तत्तथा यथा कुमारि मन्यसे ॥
स्वर रहित पद पाठअवश्लक्ष्णम् । इव । भ्रंशदन्तर्लोममति । हृदे ॥ न । वै । कुमारि । तत् । तथा । यथा । कुमारि । मन्यसे ॥१३३.६॥
अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 133; मन्त्र » 6
भाषार्थ -
(লোমমতি) লোমবিশিষ্ট (হ্রদে অন্তঃ) পুকুরের/হ্রদের ভেতর (শ্লক্ষ্ণম্ ইব) সুকুমারতা সদৃশ ভাবনা (অব ভ্রংশৎ) পরমেশ্বর রেখেছেন। (কুমারি) হে কুমারী! (বৈ) নিশ্চিতরূপে (তৎ) সেই তোমার কথন (ন তথা) তথ্য নয়, (যথা) যেমন (কুমারি) হে কুমারী! (মন্যতে) তুমি মান্য করো।
- [ইব=মন্ত্রে উপমা দেওয়া হয়েছে। মাতার সুকুমার-ভাবনাকে উপমান মান্য করে, পিতার সুকুমার-ভাবনাকে উপমেয় মেনে দর্শানো হয়েছে, পিতার সুকুমার-ভাবনা, মাতার সুকুমার-ভাবনা অপেক্ষা সামান্য ন্যূন হয়। এই অভিপ্রায় “ইব” পদ দ্বারা দর্শানো হয়েছে। পিতার সুকুমার-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ মিশ্রিত হয়, কিন্তু মাতার সুকুমার-ভাবনা দয়া স্নেহ এবং ত্যাগ মিশ্রিত থাকে। কুমারীর বিচার হল, পরমেশ্বরের ১মাতৃশক্তির সুকুমার-ভাবনার শক্তিমত্তা, রজস্ এবং তমস্ দূর করার ক্ষেত্রে মন্ত্র ৫ এ নিরাকৃত হয়েছে। কিন্তু এটাও সম্ভব নিয়ন্ত্রণ-মিশ্রিত পিত্র্য-সুকুমার-ভাবনা পরমেশ্বর নিজের ভক্ত-পুত্রের রজস্-তমস্-কে স্বয়ং দূর করে দেয়। কিন্তু মন্ত্রে কুমারীর এই বিচারেরও নিরাকরণ করা হয়েছে। সমগ্র সূক্তের অভিপ্রায় হল রাজস এবং তামস ভাবনার নিরাকরণের জন্য উপাসকের শ্রদ্ধাময়ী ভক্তি, অভ্যাস এবং বৈরাগ্য, আরাধনা, ঈশ্বরপ্রণিধান আদি মুখ্য সাধন। এগুলোর পরেই উপাসক ঈশ্বরীয় কৃপার পাত্র হয়। অতঃ রজস্-তমস্-এর পরাভবের জন্য এই উভয় অর্থাৎ পরমেশ্বরীয় কৃপা এবং যোগ-এ পুরুষার্থ, সাধনই আবশ্যক। যেমন বলা হয়েছে—“ভক্তিবিশেষাৎ আবর্জিত ঈশ্বরস্তমনুগৃহ্ণাতি, অভিধ্যানমাত্রেণ। তদভিধ্যানাদপি যোগিনঃ আসন্নতমঃ সমাধিলাভঃ ফলং চ ভবতি” (যোগ, ব্যাসভাষ্য ১.২৩)। লোমমতি হ্রদে=লোমবিশিষ্ট হ্রদ হল—হৃদয়। পুরুষের লোমবতী বুকের ভেতর তাঁর হৃদয় থাকে। এই হৃদয়রূপী হ্রদের কিনারি অর্থাৎ বুকে লোমরূপী ঘাস উৎপন্ন হতে থাকে। হৃদয়ের ভেতর “রক্ত” মানো হ্রদের “জল”। অথর্ববেদ (১০.২.১১) এ রক্তকে “আপঃ” বলা হয়েছে, এবং হৃদয়কে “সিন্ধু”।] [১. বেদে পরমেশ্বরের মাতা এবং পিতা উভয় রূপের বর্ণনা হয়েছে। যথা— ত্বꣳ হি নঃ পিতা বসো ত্বং মাতা শতক্রতো বভূবিথ । অথা তে সুম্নমীমহে ॥ (সামবেদ উত্তরার্চিক, প্রপাঠক ৪, খণ্ড ৬, মন্ত্র ২)
इस भाष्य को एडिट करें