अथर्ववेद - काण्ड 2/ सूक्त 32/ मन्त्र 3
सूक्त - काण्वः
देवता - आदित्यगणः
छन्दः - अनुष्टुप्
सूक्तम् - कृमिनाशक सूक्त
अ॑त्रि॒वद्वः॑ क्रिमयो हन्मि कण्व॒वज्ज॑मदग्नि॒वत्। अ॒गस्त्य॑स्य॒ ब्रह्म॑णा॒ सं पि॑नष्म्य॒हं क्रिमी॑न् ॥
स्वर सहित पद पाठअ॒त्त्रि॒ऽवत् । व॒: । क्रि॒म॒य॒: । ह॒न्मि॒ । क॒ण्व॒ऽवत् । ज॒म॒द॒ग्नि॒ऽवत् । अ॒गस्त्य॑स्य । ब्रह्म॑णा । सम् । पि॒न॒ष्मि॒ । अ॒हम् । क्रिमी॑न् ॥३२.३॥
स्वर रहित मन्त्र
अत्रिवद्वः क्रिमयो हन्मि कण्ववज्जमदग्निवत्। अगस्त्यस्य ब्रह्मणा सं पिनष्म्यहं क्रिमीन् ॥
स्वर रहित पद पाठअत्त्रिऽवत् । व: । क्रिमय: । हन्मि । कण्वऽवत् । जमदग्निऽवत् । अगस्त्यस्य । ब्रह्मणा । सम् । पिनष्मि । अहम् । क्रिमीन् ॥३२.३॥
अथर्ववेद - काण्ड » 2; सूक्त » 32; मन्त्र » 3
भाषार्थ -
(ক্রিময়ঃ) হে কৃমিসমূহ! (বঃ) তোমাদের (হন্মি) আমি হত্যা করি, (অত্রি বৎ) অত্রির মতো, (কণ্ব বৎ) কণ্বের মতো, (জমদগ্নিবৎ) প্রজ্বলিত অগ্নির মতো। (অগস্ত্যস্য) অগস্ত্যসম্বন্ধিত (ব্রহ্মণা) মন্ত্রোক্ত ব্রহ্মাস্ত্রের দ্বারা (অহম্) আমি (ক্রিমীন্) কৃমিদের (সংপিনষ্মি) সম্যক্ পিষ্ট করি।
टिप्पणी -
[অত্রিঃ১=অদনকর্তা পরমেশ্বর, যথা "দিবি ত্বাত্ত্রিরধারয়ৎ সূর্যা মাসায় কর্তবে। স এষি সুধৃতস্তপন্ বিশ্বা ভূতাবচাকশৎ ॥ অথর্ব০ (১৩।২।১২)। মন্ত্রে সূর্যের বর্ণনা আছে, যাকে অত্রি দ্যুলোকে ধারিত করেছে। অতঃ অত্রি হলেন অদনকর্তা পরমেশ্বর। পরমেশ্বর প্রলয়কালে সবকিছুর অদন করেন এবং সৃষ্টিকালেও প্রাণীদের কর্মফলানুসারে তাদের অদন করে। এইজন্য "অত্তা" ও বলা হয় "অত্তা চরাচর-গ্রহণাৎ ।" বৈদ্য বলে যে, পরমেশ্বর যেভাবে অদন করেন, নাশ করেন, সেভাবেই আমিও কৃমিকে পিষ্ট করি, নষ্ট করি। মন্ত্রে অত্রি=উদ্ধৃত মন্ত্রে অত্রিঃ। "অত্রি" এর অদনস্বরূপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে "অত্রি" অদ্ ধাতু দ্বারা নিষ্পন্ন হয়েছে। কণ্ববৎ= কণ্বঃ মেধাবিনাম (নিঘং০ ৩।১৫)। কণ্ব হল মেধাবী যে কণার সদৃশ সূক্ষ্ম রোগকৃমির বিনাশ করে। বৈদ্য বলে যে আমিও কণ্ববৎ রোগকৃমির নাশ করি। জমদগ্নিবৎ= জমদগ্নি হল সেই ব্যক্তি যে যজ্ঞাগ্নিকে প্রজ্বলিত করে তার মধ্যে রোগনাশক ঔষধির আহুতি দেয়। বৈদ্য বলে যে, আমিও কৃমিরোগীকে রোগনাশক ঔষধি সেবন করিয়ে তাঁর কৃমির নাশ করি। অগস্ত্যস্য ব্রহ্মণা= অগস্ত্য হল সূর্য, যা "অগ" অর্থাৎ গতিরহিত২, দ্যুলোকে স্থির এবং "স্ত্য" অর্থাৎ অন্তরিক্ষে মেঘসংঘকে স্থাপিত করে "স্ত্যৈ ষ্ট্য়ৈ শব্দসংঘাতয়োঃ" (ভ্বাদিঃ) এবং মেঘগর্জনা করে। এই সূর্য হল "বিশ্বদৃষ্টিঃ", সকলের দ্বারা দৃষ্ট এবং কৃমির হত্যা করে [প্রমৃণন্ ক্রিমীন্], (অথর্ব০ ৫।২৩।৬)। এই সূর্য উদিত, যা নিজ প্রখর রশ্মির দ্বারা কৃমিনাশক। কিন্তু (অথর্ব০ ২।৩২।১) আদিত্য এখনো উদিত নয়, তা উদ্যান এবং নিম্লোচন। এই অবস্থায় আদিত্য নিজ রশ্মির লালিমা দ্বারা কৃমির নাশ করে। উদিত সূর্য এবং অনুদিত আদিত্যের গুণের মধ্যে অন্তর রয়েছে, ভেদ রয়েছে। এইজন্য মন্ত্র ৩ (অথর্ব ২।৩২) এ ব্রহ্মণা পদ দ্বারা উদ্যন্ সূর্যের রশ্মিসমূহকে ব্রহ্মাস্ত্র বলা হয়েছে। “উদ্যন” সূর্যের লাল রশ্মির বিশেষ গুণ হলো, তা [ব্রহ্মণা] ব্রহ্মাস্ত্ররূপ, রোগজীবাণুর বিনাশের জন্য। [১. অত্রিঃ= অদনকর্তা । যথা অদ্+ত্রিঃ (উণা০ ৪।৬৯) অত্রিঃ কে মন্ত্র ১৩।২।১২ এ 'অত্ত্রি' বলা হয়েছে। অত্রি পদ হলো যৌগিকার্থক, ইহা অত্রি পদের মৌলিক স্বরূপ। ২. যথা, "এক পাদং নোৎখিদতি সলিলাদ্ধংস উচ্চরন্ যদঙ্গ স তম্ত্খিদেন্নংবাদ্য ন শ্বঃ স্যান্ন রাত্রী নাহঃ স্যান্ন ব্যুচ্ছেৎ কদাচন" (অথব০ ১১।৪।২১)। 'এক পাদং নোত্খিদতি' দ্বারা আদিত্য-কে গতিরহিত সূচিত করা হয়েছে। আদিত্য যা প্রতিদিন পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিকে যেতে দৃষ্টিগোচর হয়, তার কারণ হল পৃথিবী নিজ কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে প্রতিদিন ভ্রমণ করে, যা পুরো ভ্রমণ ২৪ ঘণ্টায় হয়।]