Loading...

मन्त्र चुनें

  • यजुर्वेद का मुख्य पृष्ठ
  • यजुर्वेद - अध्याय 31/ मन्त्र 13
    ऋषिः - नारायण ऋषिः देवता - पुरुषो देवता छन्दः - अनुष्टुप् स्वरः - गान्धारः
    2

    नाभ्या॑ऽआसीद॒न्तरि॑क्षꣳ शी॒र्ष्णो द्यौः सम॑वर्त्तत।प॒द्भयां भूमि॒र्दिशः॒ श्रोत्रा॒त्तथा॑ लो॒काँ२॥ऽअ॑कल्पयन्॥१३॥

    स्वर सहित पद पाठ

    नाभ्याः॑। आ॒सी॒त्। अ॒न्तरि॑क्षम्। शी॒र्ष्णः। द्यौः। सम्। अ॒व॒र्त्त॒त॒ ॥ प॒द्भ्यामिति॑ प॒त्ऽभ्याम्। भूमिः॑। दिशः॑। श्रोत्रा॑त्। तथा॑। लो॒कान् ॥ अ॒क॒ल्प॒य॒न् ॥१३ ॥


    स्वर रहित मन्त्र

    नाभ्याऽआसीदन्तरिक्षँ शीर्ष्णा द्यौः समवर्तत । पद्भ्याम्भूमिर्दिशः श्रोत्रात्तथा लोकाँऽअकल्पयन् ॥


    स्वर रहित पद पाठ

    नाभ्याः। आसीत्। अन्तरिक्षम्। शीर्ष्णः। द्यौः। सम्। अवर्त्तत॥ पद्भ्यामिति पत्ऽभ्याम्। भूमिः। दिशः। श्रोत्रात्। तथा। लोकान्॥ अकल्पयन्॥१३॥

    यजुर्वेद - अध्याय » 31; मन्त्र » 13
    Acknowledgment

    পদার্থ -

    নাভ্যাঽআসীদন্তরিক্ষংশীর্ষ্ণো দ্যৌঃ সমবর্তত ।

    পদ্ভ্যাং ভূমির্দিশঃ শ্রোত্রাত্তথা লোকাঁঽঅকল্পয়ন্।।৭৪।।

    (যজু ৩১।১৩)

    পদার্থঃ (নাভ্যাঃ) নাভি ভাগ থেকে (অন্তরিক্ষম্) অন্তরীক্ষ (আসীৎ) সৃষ্টি হয়েছে, (দ্যৌঃ) প্রকাশযুক্ত সকল লোক (শীর্ষ্ণঃ) মস্তক ভাগ তুল্য (সম্ অবর্তত) কল্পিত হয়েছে। (পদ্ভ্যাম্ ভূমিঃ) পায়ের তুল্য ভূমি, (দিশঃ শ্রোত্রাৎ) কানের তুল্য দিকসমূহ, (তথা লোকান্) এ ভাবে সমস্ত লোকের (অকল্পয়ন্)  কল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ সেই বিরাটের অস্তরীক্ষ নাভির তুল্য, দ্যুলোক মস্তক তুল্য, ভূমি পায়ের তুল্য হয় আর দিক তথা দিশা কানের তুল্য হয়।

     

    ভাবার্থ -

    ভাবার্থঃ হে মনুষ্যগণ! যা যা এই সৃষ্টিতে কার্যরূপ, সে সমস্ত বিরাটরূপ কার্যকারণের অবয়বরূপ জানা উচিত। ওইরূপ বিরাটকে যখন পরমাত্মা সৃষ্টি করেছেন, তখন এটা সিদ্ধ হয় যে, সকল ভূমি এবং দ্যুলোকাদি সকল লোক এবং তাতে থাকা সমস্ত প্রাণীকে সেই সর্বশক্তিমান জগদীশ্বর তৈরি করেছেন। এই সকল লোক পরমাত্মাই সৃষ্টি করেছেন; কেননা প্রকৃতি তো জড়, জড় বস্তু নিজে থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না।  জীব অল্পজ্ঞ, পরতন্ত্র এবং অল্প সামর্থ্যবিশিষ্ট; সূর্য চন্দ্র সহ সকল লোক-লোকান্তরকে জীবের দ্বারা নির্মাণ অসম্ভব।।৭৪।।

    টীকাঃ এখানে সমগ্র জগৎকে নিরাকার পরমাত্মার বিভিন্ন অঙ্গের প্রতীক হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রে বলা হয়েছে কান হল দিক তথা দিশার তুল্য। কেন এ কথা বলা হল? কানের সাথে দিক তথা দিশার কী সম্পর্ক

    এটি পবিত্র বেদের চমৎকার একটি বৈজ্ঞানিক নিদর্শন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যেআমাদের কানের ভেতরে অবস্থিত সেমিসার্কুলার ক্যানেলের মাধ্যমেই আমরা দিক নির্ণয় করে থাকি। যেমন ডানে না বাঁয়ে ফিরব, উত্তরে না দক্ষিণে ঘুরব এই সিগন্যালগুলো এই কানের সেমিসার্কুলার ক্যানেলের মাধ্যমেই মস্তিস্কে যায়। এভাবেই পবিত্র বেদের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক উপমা।।৭৪।।

     

    इस भाष्य को एडिट करें
    Top