Loading...

काण्ड के आधार पर मन्त्र चुनें

  • अथर्ववेद का मुख्य पृष्ठ
  • अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 126/ मन्त्र 23
    सूक्त - वृषाकपिरिन्द्राणी च देवता - इन्द्रः छन्दः - पङ्क्तिः सूक्तम् - सूक्त-१२६

    पर्शु॑र्ह॒ नाम॑ मान॒वी सा॒कं स॑सूव विंश॒तिम्। भ॒द्रं भ॑ल॒ त्यस्या॑ अभू॒द्यस्या॑ उ॒दर॒माम॑य॒द्विश्व॑स्मा॒दिन्द्र॒ उत्त॑रः ॥

    स्वर सहित पद पाठ

    पशु॑: । ह॒ । नाम॑ । मा॒न॒वी । सा॒कम् । स॒सू॒व॒ । विं॒श॒तिम् ॥ भ॒द्रम् । भ॒ल॒ । त्यस्यै॑ । अ॒भू॒त् । यस्या॑: । उ॒दर॑म् । आम॑यत् । विश्व॑स्मात् । इन्द्र॑: । उत्ऽत॑र ॥१२६.२३॥


    स्वर रहित मन्त्र

    पर्शुर्ह नाम मानवी साकं ससूव विंशतिम्। भद्रं भल त्यस्या अभूद्यस्या उदरमामयद्विश्वस्मादिन्द्र उत्तरः ॥

    स्वर रहित पद पाठ

    पशु: । ह । नाम । मानवी । साकम् । ससूव । विंशतिम् ॥ भद्रम् । भल । त्यस्यै । अभूत् । यस्या: । उदरम् । आमयत् । विश्वस्मात् । इन्द्र: । उत्ऽतर ॥१२६.२३॥

    अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 126; मन्त्र » 23

    भाषार्थ -
    (পর্শুঃ) অস্থি-পেশীবিশিষ্ট (মানবী) মানুষী-মাতৃদেহ, (সাকম্) এক সাথে, (বিংশতিম্) শারীরিক ২০ ঘটক (সসূব) জন্ম দেয়। (ভল) হে বিচারশীল! বলো (ত্যস্যাঃ) সেই মাতার (ভদ্রম্) কল্যাণ (অভূৎ) হোক, (যস্যাঃ) যার (উদরম্) পেট (আময়ৎ) গর্ভকালে তথা জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে , পীড়িত তথা রুগ্ণ হয়েছিল, এবং বলো (বিশ্বস্মাৎ ইন্দ্র উত্তরঃ) পরমেশ্বর সর্বোৎকৃষ্ট।

    - [বিংশতিম্— শরীরের ঘটক ২০ অবয়ব —৫ জ্ঞানেন্দ্রিয়, ৫ কর্মেন্দ্রিয়, ৫ তন্মাত্রা, ৫ ভূত। শরীরের এই ২০ ঘটক-অবয়ব। মাতৃ-দেহ, অন্তঃকরণ-চতুষ্টয় অর্থাৎ মন, বুদ্ধি, চিত্ত এবং অহঙ্কার জন্ম দেয় না। অন্তঃকরণ-চতুষ্টয় পরমেশ্বর প্রদত্ত, জীবাত্মাকে মোক্ষ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য জীবাত্মার সাথে অন্তঃকরণ-চতুষ্টয়-এর, প্রবাহ থেকে অনাদি সম্বন্ধ রয়েছে, এবং ততক্ষণ পর্যন্ত জীবাত্মার সাথে জন্ম-জন্মান্তরে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত জীবাত্মা মুক্তি না পায়। এর দ্বারা বৃষাকপি-কে এই উপদেশ দেওয়া হয়েছে, পরমেশ্বর দ্বারা প্রদত্ত দানকে তুমি পরমেশ্বরার্পিত করে দাও, তবেই মরু-ভূমিরূপ (মন্ত্র ২০) তুমি, ব্রহ্মানন্দরস দ্বারা সীঞ্চিত হয়ে প্রফুল্লিত হবে। দৈহিক ভোগ এবং দেহ বিনাশী, এইজন্য ইহার ভোগ এবং অপচার তুমি সেই অংশ পর্যন্ত করো, যে অংশ পর্যন্ত এই জীবাত্মার মোক্ষমার্গে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। তথা সাথে হে বৃষাকপি! তুমি সেই মাতৃশক্তির সদা কল্যাণ কামনা করো যে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে তোমাকে শারীরিক-জন্ম দিয়েছে, যাতে তুমি কর্মফল ভোগ করে মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারো। মন্ত্র ১ থেকে ২৩ পর্যন্ত প্রায়ঃ আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা এখানে করা হয়েছে। আধিদৈবিক ব্যাখ্যা করা হয়নি। [ভল=ভল্ to see, behold (আপ্টে), যথা—নিভালয়=দেখ। তথা “ভল্” পরিভাষণে। পর্শুঃ=পর্শুকা=The rib (আপ্টে)। পর্শুকা হ্রস্বার্থে কন্)।]। [সারাংশ . . . সূক্ত ১২৬ এর ২৩ মন্ত্রে মুখ্যরূপে ইন্দ্র, ইন্দ্রাণী এবং বৃষাকপি-এর বর্ণনা হয়েছে। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে ইন্দ্র দ্বারা পরমেশ্বরের, ইন্দ্রাণী দ্বারা ও৩ম্-এর জপ দ্বারা সাধ্য জীবাত্মার আধ্যাত্মিক শক্তির তথা পরমেশ্বরীয় কৃপার, এবং বৃষাকপি দ্বারা জীবাত্মার বর্ণনা হয়েছে। বিষয়ের প্রাসঙ্গিক অবান্তর ভেদেল কারণে এই ২৩ মন্ত্র ৬ বিভাগে বিভক্ত— ১— মন্ত্র ১-৩ পর্যন্ত বৃষাকপি-কে “ভক্তিরসবর্ষী, পাপশত্রুদের কম্পিতকারী, তথা ইন্দ্রিয়-সমূহের স্বামী হওয়ায়, তার বর্ণনা মোক্ষাধিকারী রূপে হয়েছে”। ২— মন্ত্র ৪ এবং ৫ এ বৃষাকপি-এর বিভিন্ন অর্থ গৃহীত হয়েছে। “বৃষা” অর্থাৎ কামুকতার কারণে বীর্যের বর্ষণকারী, “কপি” অর্থাৎ বানরের সমান কামুক; তথা “শ্বা” অর্থাৎ কুকুরের সমান লোভী এবং অপবিত্র। এই দৃষ্টিতে এমন বৃষাকপি-কে মোক্ষের অনধিকারী বলা হয়েছে। তথা এক সুন্দর স্ত্রী রূপে আধ্যাত্মিক-ইন্দ্রাণী-এর বর্ণন হয়েছে। ৩— মন্ত্র ৬-১২ পর্যন্ত ইন্দ্রাণী-এর প্রসঙ্গবশত মানুষী স্ত্রী-এর সদ্গুণ, কন্যার মাতার প্রতি ব্যবহার, স্ত্রী-স্বভাব, তথা ক্ষত্রাণী-পত্নীর বর্ণনা হয়েছে। ৪—মন্ত্র ১৩-১৫ এ ইন্দ্রাণীকে—বৃষাকপি অর্থাৎ ভক্তিরসবর্ষী তথা পাপ-শত্রুদের কম্পিতকারী উপাসকের মাতার রূপে; উত্তম-পুত্রসম্পন্না তথা উত্তম-পুত্রবধূসম্পন্না রূপে আধ্যাত্মিক বর্ণনা করে, মন্ত্র ২৪ এ পরমেশ্বরের প্রতি জীবাত্মার সর্বস্ব সমর্পণ তথা পরমেশ্বরীয় অন্তর্নাদের বর্ণনা হয়েছে। ৫— মন্ত্র ১৬-১৮ এ ইন্দ্র পদ দ্বারা বিদ্যুৎ এবং বৃষাকপি দ্বারা সূর্যের আধিদৈবিক বর্ণনা হয়েছে। ৬— অবশেষে ১৯-২৩ মন্ত্রে উপসংহাররূপে, পরমেশ্বর এবং জীবাত্মাল পারস্পরিক সম্বন্ধ/সম্পর্কের বর্ণনা হয়েছে। এইভাবে ১২৬ তম সূক্তে আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক, তথা আধিভৌতিক- তিন অর্থই সম্ভব। এই তিন অর্থ গৌণ-মুখ্যাভাব দ্বারা প্রায়ঃ অন্য সূক্ত-সমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।]

    इस भाष्य को एडिट करें
    Top